ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী ইরানের সঙ্গে আকাশ ও স্থলপথ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্তের কারণে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে সোমবার (১৬ জুন) জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, রোববার (১৫ জুন) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বেলুচিস্তানের সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলো—যেমন চাঘি ও গোয়াদরে—খাদ্য ও জ্বালানির সংকট দেখা দিতে পারে, কারণ এসব অঞ্চল ইরানের আমদানি হওয়া পণ্য ও তেলের ওপর নির্ভরশীল।
পাক-ইরান সীমান্তে প্রধান স্থলপথের মধ্যে রয়েছে চাঘি জেলার তাফতান এবং গোয়াদর জেলার গাবদ-রিমদান ক্রসিং। এইসব ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ ও পণ্য যাতায়াত করে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহিদ রিন্দ জানান, ইরান থেকে সমান পদক্ষেপ নেওয়ার পর পাকিস্তানও সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, “ইরানের পক্ষ থেকে সীমান্ত বন্ধ করার পর আমাদের দেশও সব ধরনের বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল স্থগিত করেছে। তবে যারা ইরানে আটকা পড়েছেন, তাদের দেশে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে।”
সীমান্ত পারাপারের সুযোগ সীমিত থাকলেও, নতুন করে কাউকে ইরানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সোমবার প্রথম দফায় তাফতান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের একটি দল দেশে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে