স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মঙ্গলবার সতর্ক করেছেন যে ইউরোপকে বর্তমান অস্থির বিশ্বে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা শিল্পকে শক্তিশালী করতে হবে, তবে কোনোভাবেই ‘নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা’য় জড়ানো যাবে না।মাদ্রিদ থেকে এএফপি জানায়, মাদ্রিদে রাষ্ট্রদূতদের একটি সম্মেলনে সানচেজ বলেন, ‘ইউরোপকে একবারে এবং চিরকালের জন্য জেগে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যথেষ্ট নয়। ইউরোপকে নিজেকে শক্তিশালী করার সামর্থ্য রাখতে হবে, যাতে এটি (বাস্তবতার ওপর) প্রভাব ফেলতে পারে এবং (এর) স্বার্থ ও মূল্যবোধ রক্ষা করতে পারে। কারণ ইউরোপ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যুদ্ধ ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে আক্রান্ত দেশগুলোর দ্বারা পরিবেষ্টিত।’
আগামী সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন এবং তিন বছর ছুঁই ছুঁই রাশিয়ার-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা করছে।
সানচেজ ইউরোপীয় সাইবার নিরাপত্তায় বিশেষ করে বেশ কিছু ঘাটতির কথা উল্লেখ করলেও তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনও কোনো সামরিক প্রবণতাকে উৎসাহিত করব না, যা আমাদেরকে একটি নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার দিকে নিয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্পেন বিশ্বাস করে যে শান্তি ও কূটনীতিই সংঘাত সমাধানের সঠিক পদ্ধতি, এবং আমি সবসময়ই বলব যে নিরাপত্তার সংজ্ঞা প্রতিরক্ষা ব্যয়ের বাইরে যায়।’
ট্রাম্পের মন্তব্য ইউক্রেনকে মস্কোর কাছে অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে সানচেজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ‘ঐক্য’ এবং ‘ন্যায্য ও টেকসই শান্তি’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের পর বেলজিয়ামে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং ন্যাটোর নেতারা এক বিশেষ প্রতিরক্ষা আলোচনায় মিলিত হবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

