বাণিজ্য চুক্তি ঘিরে চলমান জল্পনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে কথা বলেন। আলোচনায় দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মোদী ও ট্রাম্প ভারত–মার্কিন অংশীদারত্বে সাম্প্রতিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং বাণিজ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ মূল খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বাণিজ্য বাড়াতে যৌথ উদ্যোগের গতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর তারা জোর দেন।
দুই নেতা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশাপাশি কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং অভিন্ন স্বার্থ অগ্রসর করতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মত হন। গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকনির্দেশনাও এ সময় আলোচনা হয়।
ফোনালাপের পর এক্স–এ দেওয়া পোস্টে মোদী এই কথোপকথনকে ‘উষ্ণ ও আন্তরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক অগ্রগতি এবং আঞ্চলিক–আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। মোদীর দাবি, বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত–মার্কিন সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে জুলাই মাসে নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে ওয়াশিংটন। ভারত এই শুল্ককে ‘অন্যায্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং বলছে— রুশ তেলের বড় ক্রেতা চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হওয়া সত্ত্বেও শুধু ভারতের ওপর বাড়তি চাপ দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

