শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি অমরসুরিয়াকে বেছে নিয়েছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে।প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে মঙ্গলবার হরিণী অমরাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। এ ছাড়াও বিচার, শিক্ষা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে। ৫৪ বছর বয়সী হরিণী অমরাসুরিয়া দেশটির ১৬তম প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ই বামপন্থী ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের অংশ। ২২৫ আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি আসন রয়েছে এই জোটের। অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার বাকি দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে আরও দুই এমপির মধ্যে।
এনপিপি সদস্য নমল করুণারত্নে সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্রীলংকার ইতিহাসে আমাদের সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা হবে এবার। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে।
এরআগে সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে শ্রীলংকার ইতিহাস ‘নতুন করে রচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনূঢ়া। নির্বাচনে তাঁর এই জয়কে দুর্নীতি ও স্বজনতোষণের সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক এক সময়ের মার্ক্সবাদী হিসেবে পরিচিত। তার দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) এর আগে কখনো ক্ষমতার কাছাকাছিও ছিল না। স্থানীয় সময় রোববার রাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হিসেবে এই বামপন্থী নেতার নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গত শনিবার শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পান দিসানায়েকে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসজেবি নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। আর মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।
একুশে সংবাদ/ এস কে