গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায়ও ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক।
শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়।
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজধানী আঙ্কারায় যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। মার্কিন মন্ত্রীর সফরের আগ মুহূর্তে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
সাম্প্রতিক জনসভা ও সাংবাদিক সম্মেলনগুলোতে ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
শনিবার তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তারা। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু এমন কেউ নন যে তার সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হবে, আমরা তাকে বাতিল করে দিয়েছি।
এরদোগান আরও বলেন, এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম খালিন তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইব্রাহিম খালিন ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি এবং হামাসের সঙ্গেও কথা বলছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়, জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে।
এ হামলার জবাবে হামাসকে নির্মূলে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তবে এতে হামাসের বেশি ক্ষতি না হলেও হুমকির মুখে পড়েছে গাজার বেসামরিক বাসিন্দারা। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৪০০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। সূত্র: আল জাজিরা
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

