দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটিয়ে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। কুয়ালালামপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তির সাক্ষী ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি একে “এশিয়ায় শান্তির নতুন অধ্যায়” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা পরবর্তীতে স্থায়ী শান্তি আলোচনার পথ খুলে দেয়। সে সংঘর্ষে অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীও। তিনি এই উদ্যোগকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য “একটি ইতিবাচক মোড়” বলে মন্তব্য করেন।
কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, “যে কোনো জটিল বিরোধও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব— আজকের দিনটি তার প্রমাণ।” তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দ্রুত অস্ত্র প্রত্যাহার ও যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির কাজ শুরু করব। ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হলে এটি অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির ভিত্তি গড়ে তুলবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই সমঝোতা শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বিবৃতিতে বলেন, “এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এটাই উপযুক্ত সময়। যুক্তরাষ্ট্র ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তির প্রচেষ্টায় সবসময় পাশে থাকবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

