শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠছে। আশ্রয়, পোশাক ও উষ্ণতার সামগ্রী প্রবেশে ইসরায়েলি বাধার কারণে লাখো বাস্তুচ্যুত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার ক্রমবর্ধমান ঠান্ডা আবহাওয়ায় আশ্রয় ও শীতনিরোধী সামগ্রীর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু জর্ডান ও মিসরে সংস্থাটির গুদামে থাকা কম্বল, তাঁবু ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, “মানবিক সহায়তার সরবরাহে বাধা দূর করে ত্রাণ কার্যক্রম অবাধে পরিচালনার অনুমতি দিতে হবে।”
এর আগে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান এক সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশটি এখনই ইউএনআরডব্লিউএর পূর্ণ কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে রাজি নয়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সম্প্রতি রায়ে বলেছে, গাজার জনগণ পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না এবং ইসরায়েলকে অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। আদালত একই সঙ্গে সতর্ক করেছে, অনাহারকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ ও পণ্য সরবরাহে কড়াকড়ি বজায় রেখেছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি রূপরেখার অংশ হিসেবে কার্যকর হয়, যেখানে প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময় এবং পরবর্তী ধাপে গাজা পুনর্গঠন ও প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৮ হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

