কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েলের গৌরনদী থেকে বানারীপাড়া পর্যন্ত পথসভায় জনতার ঢল দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে দুপুর ১২টায় গৌরনদী উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে উজিরপুর-বানারীপাড়ার বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে তার মটর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন। তিনি মহাসড়কের দুই ধারের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মন্দিরগুলোতে পথসভায় পূজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পথসভায় ছাত্রদল নেতা এইচ. এম. সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান সরদার, সদস্য সচিব মুরাদ রনি, সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা মাকসুদুর রহমান সুমনসহ দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। তিনি দিনভর বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল বলেন, “ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার। কোনো সনাতন ধর্মাবলম্বী নির্যাতনের শিকার হলে বিএনপি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। কেউ তাদের ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘু মনে করলে চলবে না; আমরা সবাই এই দেশের জন্মগ্রহণকারী ও এই দেশের জমির ওয়ারিশ। কেউ যদি ধর্মীয় কারণে নির্যাতন করে, তার প্রতিবাদ আমরা করব। এটি আমাদের দলের ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের সঙ্গে কোনো ভেদাভেদ নেই, কখনো ছিল না। একদল তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু তকমা ব্যবহার করে জাতিকে বিভক্ত করতে চেয়েছিল। আজ আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই বাংলাদেশী।”
একুশে সংবাদ/এ.জে