হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। ১ অক্টোবর, শনিবার মহানবমী। বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
উপজেলার পৌরসভার মুনসুরপুর এলাকার মনসাতলা দুর্গাপুজা উদযাপনে পূজামন্ডপের পৌরহিত প্রেমানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “ভয়, দুঃখ, শোক, যন্ত্রণা এসব থেকে দূর্গা ভক্তকে রক্ষা করেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দূর্গা। যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবী সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে হত্যা করতে সক্ষম হন রামচন্দ্র। সেই থেকে পৃথিবীতে প্রতি বছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দূর্গোৎসব পালন করে আসছেন।”
উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি ভজন মিত্র জানান, “এবছর শঙ্কাহীনভাবে উপজেলায় ৪২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে সকল পূজামন্ডপে বর্ণাঢ্য আয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাক-ঢোল, কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্ডপ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সহযোগিতা রয়েছে। এছাড়া আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় টহল দিচ্ছেন।”
কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, “দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যাতে সুন্দরভাবে ধর্মীয় কাজ করতে পারে, সেই বিবেচনায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে