AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঝুঁকিপূর্ণ অরক্ষিত অবৈধ রেল ক্রসিং



ঝুঁকিপূর্ণ অরক্ষিত অবৈধ রেল ক্রসিং

যশোরের অভয়নগর উপজেলার উপর দিয়ে গেছে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ততম রেলপথ।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, এ রেলপথ দিয়ে মোংলা বন্দর থেকে সমগ্র উত্তরবঙ্গ, বেলাপোল ও ঢাকায় যাতায়াত করে ১২টি যাত্রী ট্রেন, এছাড়াও নিয়মিত মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।

কিন্তু এ রেলপথের অধিকাংশ রেলক্রসিং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেঙ্গল রেলগেট থেকে চেংগুটিয়া পর্যন্ত স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজেদের ব্যবসায়িক সার্থে গড়ে তোলা অনেকগুলো অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। এসব অবৈধ ক্রসিংয়ে কোনো প্রহরী নেই। সম্পূর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা এই ক্রসিংগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক পণ্য পরিবহন করে।

এর মধ্যে নওয়াপাড়া প্রফেসর পাড়া, আকিজ জুট মিল, বালিয়াডাঙ্গা, ভাংগাগেট ট্রাক টার্মিনাল, আলিপুর, নওয়াপাড়া জুট মিল এবং ভৈরব সেতু সংযোগ সড়ক রেলক্রসিংগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

এসব রেলগেটের মধ্যে ভৈরব সেতু রেলক্রসিং, নওয়াপাড়া জুট মিল, ভাংগাগেট ট্রাক টার্মিনাল এবং প্রফেসর পাড়া রেলক্রসিংয়ে স্থানীয়ভাবে নিয়োজিত গেটম্যান থাকেন, যারা ট্রেন আসার সময় বাঁশ বা দড়ি দিয়ে যানবাহন আটকান।

অন্য কোনো ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে এসব উন্মুক্ত রেলক্রসিং দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

ব্যস্ততম এলাকা ভৈরব ব্রিজের রেলক্রসিং এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে লোক নিয়োগ করেছেন। ট্রেন আসার সময় গেটের এক প্রান্তে বাঁশ ধরে লোক ও যান চলাচল কোনো মতে বন্ধ করা হয়, কিন্তু অপর পাশ খালি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।”

আকিজ জুট মিল গেট সংলগ্ন রেলক্রসিংটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। এই ক্রসিং আকিজ জুট মিল ও আকিজ আইডিয়াল স্কুলের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়, পাশাপাশি এ পথে অনেক ভারী ও হালকা যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ রেলগেটে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ চাদ আহমেদ বলেন,
“রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত ১৮ কিমি রেলপথে ১২টি বৈধ রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ৮টিতে গেটম্যান আছে। আমরা অবৈধ রেলক্রসিং বন্ধ করার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং এ অভিযান চলবে। এছাড়া বেশ কিছু অবৈধ গেটের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও অবৈধ গেটে চলাচলকারীদের সচেতন করার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।”

 

একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে

Link copied!