পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলার কারণে মো. সানু (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর স্বজনরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স চালককে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এই বিলম্বের কারণেই রোগী মারা যান বলে দাবি স্বজনদের।
মৃত সানু বাউফল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তার বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স চালক সময়মতো এলে আমার ভাইকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু তিনি আমাদের অনেকক্ষণ অযথা বসিয়ে রেখেছেন। তার অবহেলার কারণেই আমার ভাই আজ দুনিয়াতে নেই। আমি এর বিচার চাই।”
চাচাতো ভাই জাকির হোসেন বলেন, “আমরা একাধিকবার কল করেছি, কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। দুই ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করেছি। চালকের অবহেলার কারণেই রোগী মারা গেছেন। আমরা সঠিক বিচার চাই।”
স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, “সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক বাসায়ই ছিলেন। কিন্তু তিনি বারবার ৫ মিনিটের কথা বলে আমাদের দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। সঠিক সময়ে বরিশালে নিতে পারলে আমার স্বামীকে হয়তো বাঁচাতে পারতাম। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি অসুস্থ ছিলাম। তাদের জানিয়েছি এক ঘণ্টার মধ্যে আসব এবং এক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছেছি। দিন-রাত সবসময় ডিউটি করি। দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ দিলে শাস্তি মেনে নেব।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক রোগীর অভিযোগ রয়েছে। স্বজনদের দাবি, তিনি দায়িত্বে অবহেলা করেন এবং ডাক্তারদের নির্দেশও আমলে নেন না। তার এমন আচরণে রোগীদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে