সাপের কামড়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নাছিমা বেগম (৪৫) নামে এক নারী এবং চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রশ্মি খাতুন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা সত্ত্বেও তাদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
নাছিমা বেগম কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর মাঠপাড়ার বাসিন্দা ও মাহতাব আলীর স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে খাটে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে সাপে কামড় দেয়। মেয়ে মাহফুজা খাতুন জানান, মায়ের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা জেগে ওঠেন এবং জানতে পারেন, তাকে সাপে কামড়েছে।
প্রথমে তাকে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ঝিনাইদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম ইনজেকশন দেওয়া হলেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায়, তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পথে ফরিদপুরে পৌঁছানোর আগেই মারা যান নাছিমা বেগম।
অন্যদিকে, একই রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামে সাপে কেটেছে শিশু রশ্মি খাতুনকে। সে আসিবুল হকের মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘুমানোর সময় তাকে সাপে কামড় দেয় এবং সাপটিকে ধরে মেরে ফেলা হয়। পরে দ্রুত রশ্মিকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু রশ্মি।
দুইটি মৃত্যুই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সঠিক ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা এবং সাপের বিষের কার্যকর প্রতিষেধকের অভাব নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে