রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধভাবে দোকানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক যৌথবাহিনীর অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. আকিদুল ইসলাম (৪২) এবং তারেক মিয়া আলমাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জানান, বুধবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বালিয়াকান্দি বাজারের তার ওষুধের দোকানে প্রায় ২০-২৫ জন হামলা চালায়। অভিযোগে তিনি বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু, ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আশিক মাহমুদ, স্থানীয় জামায়াত নেতা মো. উসমান গনি মানিকসহ একদল লোক দোকানে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
চাঁদা বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে তারা তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফারুক বলেন, ‘চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে, মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকানের লকার থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা পাশের রমেশ কুন্ডুর মিষ্টির দোকানেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আশিক মাহমুদ ও আকিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সেই জমি দখল করতেই এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আকিদুল ইসলাম ও তারেক মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে থানায় মামলা গ্রহণ না হওয়ায় পুলিশ তাদের ১৫১ ধারায় বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠায়।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলেছি, কিন্তু তারা লিখিত অভিযোগ দেননি। তাই আটক দুজনকে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে অভিযুক্ত খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু ও আশিক মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী ফারুক দাবি করেন, ‘চুন্নু বালিয়াকান্দি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে একাধিক মামলার আসামি এবং যৌথবাহিনীর হাতেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি, তবে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছি।’
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে