নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বাসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। মামলাটি করেছেন নাইম বিল্লাহ নামে জনৈক ব্যক্তি।
জানা যায়, শনিবার (১০ মে) দুপুরে কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় বাসা দখল নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর রাতেই হরিপুর গ্রামের আবুল হাসেনের ছেলে নাইম বিল্লাহ বাদী হয়ে ৮ জনের নামোল্লেখ করে এজাহার দায়ের করলে রাতেই পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তেররা হলেন রিয়াদ, জনি ও স্মৃতি।
তাদেরকে আজ দুপুরের দিকে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিভাবে জানা গেছে, মো. সিরাজ মিয়া উক্ত বাসা ভাড়া নিয়ে পরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছিলেন । এ নিয়ে কোর্টে মামলাও চলমান । তবে বিভিন্ন সময় দরবার সালিশির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয় । সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মো. সিরাজ মিয়াকে ৩ দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় দখলে নামেন বাদী নাইম বিল্লাহ ও তার ভাই মুফতি ফাহিম বিল্লাহ । এতে সংঘর্ষ হলে উভয়পক্ষের রনি, জনি, আবুল কাশেম, আলম, সুজনসহ আহত হন ৭-৮ জন । ময়মনসিংহ মেডিকেলে পঠানো হয়েছে আলম নামে ১ জনকে জানান নাইম বিল্লাহ ৷
বাদী নাইম বিল্লাহ ও তার ভাই মুফতি ফাহিম বিল্লাহ বলেন, এই জায়গা আমার মা হোসনা ইয়াসমিনের নামে । আমরা সিরাজ মিয়ার কাছে ভাড়া দিয়েছিলাম । পরে তিনি সাদেক স্যারের ছেলে সাবেতের কাছ থেকে ভুয়া দলিল করে নেয় । যা সম্পূর্ণ অবৈধ । আর এতে সহযোগিতা করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ । তিনি আরো বলেন, গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মো. সিরাজ মিয়াকে ৩ দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দখলে এসেছি ।
মো. সিরাজের ছেলে মো. রনি বলেন, আমরা কোনো অবৈধ বা দখলদারি নই । আমাদের বৈধ দলিলপত্রাদি রয়েছে । আমাদেরকে রক্তাক্ত করে দখল করতে চাইছে । আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, বাসা নিয়ে মারামারির মামলায় নাইম বিল্লাহ নামে জনৈক ব্যক্তি গত রাতে আটজনকে আসামি করে মারামারির মামলা করলে আমরা রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। আসামিদের আজ দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/নে.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :