ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে চুরির ঘটনা ঘটার ২৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ঘাটন হয়নি রহস্য। উদ্ধার হয়নি উপজেলা চেয়ারম্যানের সহকারীর কক্ষ থেকে চুরি হওয়া ল্যাপটপটি। সিসি ক্যামেরা ও প্রহরী থাকা সত্ত্বেও চুরির ঘটনায় জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল (রবিবার) রাতে অজ্ঞাত চোরেরা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের দুটি কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। চুরি হওয়া কক্ষ দুটি分别 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সহকারীর কক্ষ। চোরেরা চেয়ারম্যানের সহকারীর কক্ষ থেকে একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায় এবং দুটি কক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাগজপত্র তছনছ করে।
ঘটনার পরদিন ৭ এপ্রিল উপজেলা চেয়ারম্যানের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) রাশেদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ২৯ দিন পার হলেও তদন্তে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এখনো উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া ল্যাপটপ।
ঘটনার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে দায়িত্বরত ছিলেন দুইজন আনসার সদস্য এবং উপজেলা চত্বরে চারটি অফিসের চারজন নৈশ প্রহরী। পুরো চত্বর সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলেও দুর্বৃত্তরা কিভাবে চুরি করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ রাশেদুল ইসলাম বলেন, "সিসি ক্যামেরা ও প্রহরী থাকার পরও চুরির ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন।"
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি, তবে একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। চোর শনাক্ত হয়েছে, তাকে ধরতে অভিযান চলছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। মামলার পরিবর্তে কেবল অভিযোগ করা হয়েছিল।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :