AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে একই গ্রামের ১১ জন আক্রান্ত



সুন্দরগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে একই গ্রামের ১১ জন আক্রান্ত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করার কারণে একই গ্রামের ১১ জন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কিশামত সদর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. হাফিজার রহমান জানান, গত সোমবার মাহবুর রহমানের অসুস্থ গরুটি স্থানীয়রা জবাই করে ভাগাভাগি করেন। চারদিন পর অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ফোসকা, পচা মাংসের মতো উপসর্গ এবং হাত, মুখ, চোখ ও নাকে ক্ষত দেখা দেয়। গুরুতর অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা—মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমান—বর্তমানে গাইবান্ধার রাবেয়া ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গরু-ছাগলের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। সেখান থেকে এই রোগ সুন্দরগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদীবেষ্টিত বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা ও পৌরসভা এলাকায় অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় টিকা প্রদান করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, আক্রান্ত পশু জবাই বা পরিচর্যার সময় মানুষের মধ্যেও অ্যানথ্রাক্স ছড়াতে পারে। তাই আক্রান্ত পশু কোনো অবস্থাতেই জবাই না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

আক্রান্ত মাহবুর রহমান জানান, তার গরু প্রায় ১০ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানোর পরও অবস্থার অবনতি হলে সোমবার গরুটি জবাই করা হয়। জবাইয়ের সময় যারা অংশ নেন, সবাই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলায় ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়েছে। পৌরসভায় ২টি গরু মারা গেছে এবং সাহাবাজ এলাকায়ও টিকা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ হাজার ডোজ টিকা মজুত আছে এবং আরও সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে মানুষের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে সংস্পর্শে আসলে ঝুঁকি থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক জানান, বেলকা ইউনিয়ন থেকে ৪-৫ জন অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করেন, আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এলে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!