সানাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সারদীয় দুর্গাপূজা, বিজয়া দশমী, `ফাতেহা-ই-জাদামী`, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে টানা ১২ দিনের ছুটি ঘোষণা করে কলেজ প্রশাসন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি শুরু হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে যা চলবে ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত । লম্বা ছুটি পাওয়ায় পরিবারের সাথে খানিকটা সময় কাটাতে গ্রামে ফিরেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে জন-মানব শূন্য হয়ে পড়েছে কলেজ ক্যাম্পাস।
শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে আনন্দের জায়গা হলো কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী তার ব্যস্ত সময় পার করে । সপ্তাহ কবে পার হবে তা কেবল ছুটির দিনেই অনুভব করা যায়।
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কলেজ কবি নজরুল সরকারি কলেজ যেখানে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত চলে পাঠদান। ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যে ঘেরা এই ক্যাম্পাস ।
শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর এই ক্যাম্পাস যেন দীর্ঘ ছুটিতে নিরব হয়ে গেছে । শুধু দাঁড়িয়ে আছে লাল ইটের দালান । কারণ দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারি দিয়েছেন নিজ গ্রামে । শহর বা গ্রামে সময় পার করছে সকলে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে কাম্পাসে নেই কোন প্রাণ।
সরেজমিন ক্যাম্পাসে আজ ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) ঘুরে দেখা যায়, একেবারে ফাঁকা পরে আছে কলেজ ক্যাম্পাস। সকাল কিংবা বিকেল যেখানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় মুখর থাকতো, ফাঁকা পারে আছে সেই খেলার মাঠ। সারাদিন যেই ক্লাসরুম শিক্ষার্থীতে ভরপুর থাকতো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে সেই ক্লাস রুম এবং লাইব্রেরী। কলেজের রিডিং রুম খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হাতে গুনা।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ছুটি কাটাতে গ্রামে গেছে যার কারণে ক্যাম্পাস ফাঁকা। আমি মনে করি ছুটি শেষে সবাই ক্যাম্পাসে ফিরলে আবারো প্রাণবন্তর হয়ে উঠবে ক্যাম্পাস।
একুশে সংবাদ/এ.জে