দ্রুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন ও রোডম্যাপ ঘোষণা, সাজিদ হত্যার বিচার এবং মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুব আলীর নেতৃত্বে অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলিসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের অন্য দাবিগুলো হলোÑ ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম নিশ্চিতকরণ ও অবিলম্বে নির্মাণাধীন হলসমূহ চালু করা।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ইকসুর নীতিমালা চূড়ান্তের আশ্বাস দিলেও এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। তীব্র শিক্ষক সংকটে থাকা বিভাগগুলোতে দ্রুত মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। চলতি বছরেই হলের নির্মাণকাজ শেষ করে মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করতে হবে। এছাড়া সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও খুনিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
এদিকে ইকসুর পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ও সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করেন তারা। এসময় আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইকসু গঠনে দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
একুশে সংবাদ/এ.জে