রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কলেজের একমাত্র শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাসে সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছিলেন। নিরাপদ পানি না পাওয়ায় কিছুদিন পরপরই শিক্ষার্থীরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলেন।
ছাত্রাবাসে ফিল্টার স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক বায়জিদ মাহমুদ এবং ইসলামী ছাত্রশিবির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ।
ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে ভুগছি। আমাদের ছোট্ট একটা পানির ফিল্টার থাকলেও তার অবস্থা খারাপ, প্রায় সব সময় নষ্ট থাকে। ছাত্রশিবিরের এরকম একটি মহৎ কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি যদি ক্যাম্পাসের সকল রাজনৈতিক দলগুলো এরকম মহৎ কাজে অংশ নেয় তাহলে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাসে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
ছাত্রাবাসে অবস্থানরত আরেক শিক্ষার্থী মোঃ শাহিন আলম বলেন, ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশুদ্ধ পানির। ৫ আগষ্টের পর আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বাইরে থেকে পানি এনেছি। হলের দায়িত্ব যেহেতু কলেজ প্রসাশন নেয়নি, তাই সিনিয়র ভাইয়েরা মিটিং ডেকে অবস্থানরত সকলের থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা তুলে একটা ফিল্টারের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু এতোগুলো ছাত্রের পানির চাহিদা এই একটা ফিল্টারে হচ্ছিলো না । ৫/৭ জন পানি নিলেই বাকি সবাইকে বাইরে থেকে পানি আনতে হতো।
তিনি আরও বলেন, ইসলামি ছাত্র শিবির কবি নজরুল কলেজ শাখাকে ধন্যবাদ জানাই, হলের ছাত্রদের ভোগান্তির কথা ভেবে এই সুন্দর একটি উদ্যোগের জন্য। আশা করি, আমরা সবাই আমাদের পানির চাহিদা মেটাতে পারবো।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসিব বিন হাসান বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজের একমাত্র হল শহীদ শামসুল আলম হলে দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাব ছিল। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভুকছিলেন দীর্ঘদিন যাবত । এই বিষয়গুলো চিন্তা করেই আমরা একটি নিরাপদ পানির ফিল্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষার্থীরা খুবই খুশি। অনেকে এসে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ছোট একটি উদ্যোগ হলেও এটি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের লক্ষ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করা। আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে হল ও ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক আরও উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।ক্যাম্পাস খোলার পর এগুলো আস্তে আস্তে বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
একুশে সংবাদ/এ.জে