AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ, মানববন্ধন



ইবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ, মানববন্ধন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্ম নিয়ে ‘কটুক্তির’ অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মুহাইমিন ইসলাম। বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। পরে মানববন্ধন শেষে তারা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত মুহাইমিন গত ৫ আগস্ট রাতে ‘ইবিয়ান পরিবার’ পেইজে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করে। যা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগের সঙ্গে ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটের ফটোকপিও জমা দেন। তাতে দেখা যায়, পোস্টে মুহাইমিন উল্লেখ করেন, ‘পবিত্র কুরআনের সাথে গীতা পাঠের দাবী চূড়ান্ত অযৌক্তিক। কারণ- পবিত্র মাজীদ ব্যতীত পৃথিবীতে আর কোনো ধর্মের গ্রন্থ সানাদ দ্বারা সংরক্ষিত নয়। আর গীতা সেই সানাদহীন ধর্মগ্রন্থের একটি উদাহরণ। ইবিতে গীতা পাঠ করার দাবি ইবির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিপরীত। গীতা অনুযায়ী গীতা কোনো সার্বজনীন গ্রন্থ নয়। এটি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিদের জন্য শ্রবণযোগ্য। যেমন গীতায় বলা হয়েছে। গীতা হচ্ছে গুপ্ত ধর্ম। যা যত্র তত্র প্রচার করা যাবে না।’ পোস্টে তিনি এর রেফারেন্স হিসেবে গীতা থেকে বিভিন্ন শ্লোক তুলে ধরে তার ব্যাখ্যা দেন।

এছাড়া আরও বিভিন্ন শ্লোক তুলে ধরে লিখেন, ‘উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে, মানুষ মূলত কোনো কর্ম করে না। কারণ হিন্দুরা ব্রহ্মের জন্য কোনো সম্পাদনা করা সাব্যস্ত করে না। এর হেতু হলো, তাদের দর্শন অনুযায়ী ব্রহ্মই যেহেতু সর্বসৃষ্টিতে ব্যপ্ত, সুতরাং তিনি কোনো কার্য করতে পারেন না। কারণ যদি বলা হয় তিনি কার্য করেন, তবে মানুষের কুকর্মের দায় ব্রহ্মের উপর চাপাতে হবে। কেননা ইতিপূর্বে সমস্ত সৃষ্টিকে ব্রহ্মের অংশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।’ 

আরও লিখেছেন, ‘এই দর্শন অনুযায়ী ঈশ্বর সর্বত্র তথা ড্রেন ও টয়লেটেও থাকে। আর সাধারণ রুচিসম্পন্ন কোনো মানুষ এটি কখনো মেনে নিতে পারে না।’ এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় বলেন, এইসব পোস্ট সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে আমাদের ধর্মীয় সহাবস্থান নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা কটুক্তিকারীর স্থায়ী বহিষ্কার চাই। একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এসব করার সাহস না করে। 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!