আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হলো সরকারের পক্ষ থেকে।
বুধবার (৬ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পাঠানো চিঠিতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
গত ৫ আগস্ট, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ চিঠি পাঠানো হলো।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,“নির্বাচন যেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক মহা-আনন্দের ভোট উৎসবে রূপ নেয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এখনই শুরু করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং জনসাধারণের বিপুল অংশগ্রহণে তা স্মরণীয় হয়ে ওঠে—এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে হবে। এ ছাড়া, ভোটে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার নির্দেশনাও চিঠিতে দেওয়া হয়।
চিঠিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন আয়োজনের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ‘জাতীয় ঐক্য সরকারের’ রূপরেখা ঘোষণার পর নির্বাচন নিয়ে এটি ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য ভোট অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে ইসিকে তাগিদ দিলো প্রশাসন।
একুশে সংবাদ/এ.জে