এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে, আর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় এসেছে ৮ রানের ব্যবধানে। মিরপুরে ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে ১২৫ রানে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে জাকের আলীর ৪৮ বলে ৫৫ ও শেখ মেহেদী হাসানের ২৫ বলে ৩৩ রানে ভর করে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাকিব ও শরিফুলের বোলিংয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান জমা হতেই তারা হারায় টপ-অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। প্রথম ওভারেই রানআউটে কাটা পড়েন সাইম আইয়ুব। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস।
এরপর শরিফুল ফেরান ফখর জামানকে, যিনি আগের ম্যাচে ৪৪ রান করেছিলেন। আজ ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। এরপর হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজকেও দ্রুত ফেরান তানজিম হাসান সাকিব।
আগা সালমান ও খুশদিল শাহ কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মেহেদীর বলে ২৩ বলে ৯ রান করে ফিরেন সালমান। পরে খুশদিল শাহও মেহেদীর শিকার হন।
শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ও আব্বাস আফ্রিদি কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। তাদের ২৭ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে দেন শরিফুল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
এই ম্যাচে একাদশে জায়গা পান নাঈম শেখ ও শরিফুল ইসলাম। বাদ পড়েন তানজিদ তামিম ও তাসকিন আহমেদ। ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেন নাঈম শেখ (৭ বলে ৩ রান)। এরপর লিটন দাসও (৯ বলে ৮) ব্যর্থ হন। তাওহীদ হৃদয়ও রানআউটে ফিরেন শূন্য রানে। ইমন করেন ১৪ বলে ১৩ রান। পাওয়ারপ্লেতে টাইগারদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে মাত্র ২৮।
এরপর জাকের ও মেহেদীর ৫৩ রানের জুটি কিছুটা স্বস্তি দেয়। মেহেদী করেন ২৫ বলে ৩৩ রান। জাকের খেলেন ৪৮ বলে ৫৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। শেষ দিকে সাকিব (৭) ও রিশাদ (৮) ছোট ছোট অবদান রাখেন।
পাকিস্তানের পক্ষে সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়েল ও আব্বাস আফ্রিদি ২টি করে উইকেট নেন। ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ নেন ১টি করে উইকেট।
একুশে সংবাদ/এ.জে