আইপিএলে আরও একটি অর্ধশতরান করলেন বিরাট কোহলি। ঝোড়ো ইনিংস খেললেন রজত পাটীদারও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন আপের কথা মাথায় রেখে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার কোহলি ও ফাফ। দ্রুত রান তুলছিলেন তাঁরা। কিন্তু পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আবার উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ১২ বলে ২৫ রান করে টি নটরাজনের বলে আউট হন ডুপ্লেসি।
প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচ জন বোলারকে দিয়ে বল করেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিন নম্বরে নামা উইল জ্যাকস এই ম্যাচে রান পাননি। লেগ স্পিনার মায়াঙ্ক মারকন্ডের বলের গতি বুঝতে না পেরে ৬ রান করে বোল্ড হন তিনি। পাওয়ার প্লে-র পরে রানের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। সেখান থেকে দলকে টানেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা পাটীদার। মারকন্ডের এক ওভারে পর পর চারটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৯ বলে অর্ধশতরান করেন পাটীদার। কিন্তু পরের বলেই আউট হন তিনি। আইপিএলে নিজের ১০০তম ম্যাচে পাটীদারকে আউট করেন জয়দেব উনাদকাট।
কোহলিও নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তার পরেই অবশ্য উনাদকাটের বলে ৫১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি। বলের গতির হেরফের করছিলেন উনাদকাট। ফলে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের। মহিপাল লোমরোরকেও ফেরান হায়দরাবাদের বাঁ হাতি পেসার।
বেঙ্গালুরুর ইনিংসকে ২০০ পার করার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে ক্যামেরন গ্রিন ও দীনেশ কার্তিকের উপর। গ্রিন ভাল খেলছিলেন। ডেথ ওভারে ভাল বল করছিলেন হায়দরাবাদের পেসারেরা। বড় শট খেলার জায়গা দিচ্ছিলেন না। ১৯তম ওভারে কামিন্সের বিরুদ্ধে হাত খোলেন বেঙ্গালুরুর দুই ব্যাটার। সেই ওভারে ওঠে ১৫ রান। তবে সেই ওভারেই কার্তিকের উইকেটও হারায় বেঙ্গালুরু। শেষ ওভারে নটরাজন দেন ১২ রান। ২০ ওভারে ২০৬ রানে শেষ হয় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিন।
একুশে সংবাদ/এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

