মধ্যপ্রাচ্যের ধনী রাষ্ট্র কুয়েত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত কর্মস্থান হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েত সরকার শ্রমিক ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় বাংলাদেশিদের কুয়েতমুখী আগ্রহ আরও বেড়েছে।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২০০টিরও বেশি শ্রমিক ভিসা সত্যায়নের আবেদন জমা পড়ছে দূতাবাসে।
কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা জানান, বর্তমান রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন প্রবাসীদের কল্যাণে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্য সহজতর প্রক্রিয়ায় ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন।
তবে, কমিউনিটি নেতাদের অভিযোগ, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশিদের অভিবাসন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এর জন্য দায়ী দেশটিতে সক্রিয় বাংলাদেশি ভিসা দালালদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
তাদের দাবি, কুয়েতে শ্রমিক ভিসার মূল্য বর্তমানে নিয়ন্ত্রণহীন। স্থানীয় দালালরা তাদের ইচ্ছেমতো ভিসার মূল্য নির্ধারণ করছে। স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভিসার জন্য আদায় করা হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ কুয়েতি দিনার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার সমান।
কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভিসা মূল্য সহনীয় রাখতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “দক্ষ জনশক্তিকে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভিসার মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সাধারণ কর্মজীবীরা কুয়েতে এসে কর্মসংস্থান লাভ করতে পারে।”
কমিউনিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকার ও দূতাবাস যৌথভাবে দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এই ভিসা ব্যবসার অনিয়ম অনেকটাই কমে আসবে।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে