AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অনৈক্যের মাঝেই ভোটের উত্তাপ


Ekushey Sangbad
হাসান কাজল
১২:৪৫ এএম, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

অনৈক্যের মাঝেই ভোটের উত্তাপ

রাজনীতিতে  শেষ কথা বলতে কিছু নেই। প্রচলিত বহূ পুরণো প্র্রবাদটি ফিরে আসে বারবার। ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সহসাই টালমাটাল রাজনীতি। জুলাই মৈত্রিশক্তিতে বিভক্তিও আস্থার সংকট বাড়ছে।রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আসন্ন নির্বাচন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে গণমানুষসহ খোদ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। পারস্পরিক আলোচনায় কথার ফুলঝুড়ি ছড়ানো হচ্ছে ।

২০২৬ এর ফেব্রয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্র্রহণ শেষে ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।সোমবার(৩ নভেম্বের) দেশের প্রধান বৃহৎদল বিএনপি সারাদেশে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আগামী নির্বাচনে ২৩৭ আসনে তাদের সম্ভাব্য একক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন। জামাত ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে তাদের সম্ভাব্য একক প্রার্থী বাছাই করে রেখেছেন। সবমিলিয়ে এই নির্বাচনি আবহে জল ঢেলেছেন পারস্পরিক অবিশ্বাস ও কথার ফুলঝুড়ি।এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

জানা গেছে,জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলো ঐকমত্যে আসতে পারেনি। কমিশন সুপারিশ দেওয়ার পর দলগুলোর মতবিরোধ জোরালোভাবে সামনে এসেছে। যে কারণে আগামী নির্বাচন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল সংশয় প্রকাশ করছে। জামায়াতে ইসলামী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তবে জামাত মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য একজন ‘রেফারি’র অভাব হতে পারে। তাঁরা আশা করেন এখানে প্রধান উপদেষ্টা রেফারির ভূমিকা পালন করবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)  বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ আলাপ-আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে।

গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দুটি বিকল্প সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর একটিতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। নির্ধারিত সময়ে সংসদ এটি করতে ব্যর্থ হলে সংস্কার প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। অন্য বিকল্প সুপারিশটিও প্রায় একই। তবে সেখানে বলা হয়েছে, ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করা হবে। না হলে কী হবে, তা উল্লেখ নেই। তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর তা নতুন করে তীব্রভাবে সামনে আসে।


ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের তিনটি স্তর—আদেশ জারি, গণভোট এবং আগামী সংসদকে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা দেওয়া। এ তিনটি স্তর নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতপার্থক্য আছে। তবে এখন মূল মতবিরোধ গণভোটের সময় এবং সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত রাখা না রাখা নিয়ে। বিএনপি বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলেও মনে করে দলটি। জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ দেখার পরই এনসিপি সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এ রকম পরিস্থিতিতে  জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্ত করা এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়। এতে লক্ষ করা হয়, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনা করার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ ছাড়া গণভোট কবে ও তার বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো নিজ উদ্যোগ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নেই, সেটাও সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়। আসিফ নজরুল বলেন,আহ্বান জানিয়েছি আমরা অপেক্ষা করব। তারপর সরকার সরকারের মতো পদক্ষেপ নেবে।’

তিনি আরও বলেন,সরকার আর কোনো আরোচনার আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছরে আলোচনা করে বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা নিজেরা আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে। সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করার বিষয়টি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কর্মপরিধিতে ছিল না। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাইয়ের পর ঐকমত্য কমিশন সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলো ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করে। ৯ অক্টোবর এ আলোচনা শেষ হয়। আলোচনায় গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য হয়। কিন্তু সনদ ও গণভোটের আইনি ভিত্তি, সময় ও পথ-পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থেকে যায়।

বিএনপি মনে করে, জুলাই সনদ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা যায়, তার ভিত্তিতে একটি নতুন অধ্যাদেশ করে গণভোট হবে। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করার পক্ষে। দলটি মনে করে, এটি হলে আগামী সংসদকে আলাদা কোনো ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে।বিএনপির বক্তব্য, কোন কোন প্রস্তাবে কোন কোন দলের ভিন্নমত আছে, সেগুলো জুলাই সনদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সুতরাং গণভোটে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে যারা জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হবে, তারা ভিন্নমত অনুসারেই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী সংস্কার টেকসই করতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট করতে হবে। গণভোট হতে হবে জাতীয় নির্বাচনের আগে। ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোও সনদ ও গণভোটে থাকবে। গণভোটে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে রায় এলে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যেভাবে ঐকমত্য কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা পালনের ক্ষমতা দিতে হবে।এনসিপির অবস্থানও জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানের কাছাকাছি। তবে দলটি বলেছে, তারা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা চায়। সেটা থাকলে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনও হতে পারে বা আগেও হতে পারে। এ ছাড়া দলটির দাবি, রাষ্ট্রপতি নয়, জনগণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, তা সুসংহত করতে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবেন। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী । তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে বিএনপির তৈরি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উত্তাপ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।

জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়,‘সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি নতুন করে যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, সেটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং জনগণ ফেব্রুয়ারিতে যে একটি জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছে, নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ এ রকম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, উত্তাপ তৈরি করা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে বলেই আমরা মনে করি। এবং এ রকম অশুভ চক্রের কাছে প্রধান উপদেষ্টা নতি স্বীকার করবেন, বশ্যতা স্বীকার করবেন এবং ষড়যন্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করে উনি সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবেন, এটি আমরা আশা করি না।’

অপর দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন  তার জীবনের শেষ জাতীয় নির্বাচন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  ৪ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। পোস্টে মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন। যারা মনোনয়ন পায়নি- বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে। আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ!পোস্টের শুরুতে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে। আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য। আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে, অনেকেই তা জানে না। আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই- আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো। সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল, বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে। আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সে-ই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে। মনে পরে, আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে- আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম; ঢাকার পথে, যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি। তখন এত কষ্ট হচ্ছিলো, আমি ছিলাম মসজিদে যখন তার অপারেশন হচ্ছিল।  গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার নেতাকর্মীর আছে !

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!