ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সভা-সেমিনার, মানববন্ধনসহ যেকোনো কর্মসূচি পালন করতে অনুমতি নিতে হবে এমন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ নতুন নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা। এ সিদ্ধান্তকে প্রহসনমূলক দাবি করে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে তালিকাভূক্ত সংগঠন বা সমিতি বা ক্লাব ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন বা সমিতির নামে ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন বা অন্য কোনো কর্মসূচি পালন না করতে পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। তালিকাভূক্ত হতে চাইলে উক্ত সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা, গঠনতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি (উপদেষ্টা পরিষদের স্বাক্ষরসহ) ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে জমা দিতে হবে।
এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তা ও মত প্রকাশের জায়গা। কোন সামরিক ক্যাম্প নয় যে আন্দোলন, সভা সেমিনার করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কেউ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ দমিয়ে ক্যাম্পাস চালাতে পারবে না। প্রতিবাদ ও সংগঠন করা আমাদের অধিকার। মনে রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলন কিন্তু প্রশাসনের তালিকাভুক্ত কোন সংগঠনের মধ্যে থেকে হয়নি।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব বলেন, সামাজিক ও প্রতিবাদী কার্যক্রমকে বাধাদান স্বৈরাচারী আচরণকে ইঙ্গিত করে। এতে প্রশাসনের অদূরদর্শীতা প্রমাণ হয়। কারো কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে প্রতিবন্ধক।
ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, সভা, সেমিনার যে কেউ করতে পারে। ব্যক্তি একজন হলেও তার প্রতিবাদের জায়গা প্রশাসনকে দিতে হবে। অনুমতি নিয়ে কখনো আন্দোলন হয়না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই দাবি অযৌক্তিক ও অবান্তর।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীদের অধিকার। আমরা সবধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সমর্থন করি।
এ বিষয়ে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে