AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতীয় রূপান্তরের লক্ষ্যে বিএনসিসি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৫৯ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

জাতীয় রূপান্তরের লক্ষ্যে বিএনসিসি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনা শেষে তিনি এই আহ্বান জানান। উপস্থাপনাটি দেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল মসউদ বিএনসিসির কাঠামো, জনবল উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাজেট, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসির কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং ভবিষ্যতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে। তবে গুণগত মান ও প্রশিক্ষণের বিশ্বাসযোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ ও যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে হবে।”

তিনি আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা। প্রশিক্ষণ শেষে এমন সনদ থাকতে হবে, যা ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি মেয়েদের সমান অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।”

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনসিসিকে আরও কর্মমুখী ও প্রয়োগযোগ্য করে তুলতে হবে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে এই স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো যায়।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগে গুরুত্ব দিতে হবে।

সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসির নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সরকার নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে তরুণদের জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় যুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!