আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উৎসবমুখর, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীতে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাই আগামী নির্বাচন একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হোক—যেখানে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ সমানভাবে অংশ নিতে পারে।” তিনি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ-জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত লোটজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে—যা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই মাসে ঘোষিত জাতীয় সনদ (National Charter) এবং সরকারের সংস্কার উদ্যোগ রাজনৈতিক সংলাপের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এসব উদ্যোগ নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও অব্যাহত থাকা উচিত।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একই মঞ্চে এনে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করানোর মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। এটি ঐক্য, পরিবর্তন ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
সাক্ষাতে দুই পক্ষ জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশের তরুণদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু ও এ ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তা নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। আশা করি, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে