অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, সেনা সদস্যরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যেভাবে আদালতে হাজির হয়েছেন এবং সেনা প্রশাসনের যেভাবে সহায়তা দিয়েছেন— তা আইনের শাসনের প্রতি গভীর অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সাবজেলে রাখা বা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। এটি তাদের প্রশাসনিক বিবেচনার ওপর নির্ভর করে, এ বিষয়ে মন্তব্য করা তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।
এর আগে বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম, খুন ও জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধসংক্রান্ত তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেল থেকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে আদালত শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
তিন মামলায় মোট ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কর্মরত আছেন, নয়জন অবসরে এবং একজন এলপিআরে রয়েছেন। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সেনা আইন প্রযোজ্য নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে