জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের ২২তম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংলাপে আলোচনার জন্য এদিন যে বিষয়গুলো এজেন্ডায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে—সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, সরকারি কর্ম কমিশনের ভূমিকা, দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাঠামো, ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি এবং ইলেক্টোরাল কলেজ গঠন ইত্যাদি।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আপনাদের অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামীকালকের মধ্যেই আমরা বেশ কিছু বিষয়ে আপনাদের অবহিত করতে পারব।”
তিনি জানান, নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ক আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব সংক্রান্ত আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মৌলিক অধিকার প্রসার সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো পৃথকভাবে দলগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অধিকাংশ দল এ বিষয়ে নীতিগত সমর্থন দিলেও সংবিধান সংশোধন নিয়ে কিছু মতবিরোধ রয়ে গেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে কমিশনে জমা দেওয়া সুপারিশ ও আপত্তিগুলোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এসব বিষয় স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আলোচনার অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”
আলোচনার শেষভাগে তিনি জানান, “আজকের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে, তার একটি তালিকা দলগুলোর কাছে দেওয়া হবে। আশা করি আগামীকাল একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ উপস্থাপন সম্ভব হবে।”
তিনি সকল দলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “আলোচনার যে ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করছি।”
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে প্রস্তাব এখনও চূড়ান্ত না হলেও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আলোচনা এগিয়ে চলছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কমিশনের সহসভাপতি।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে