‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২৯তম উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে এসব খসড়া অনুমোদিত হয়।
অনুমোদিত তিনটি অধ্যাদেশ:
১. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫
২. সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
৩. মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ অধ্যাদেশ, ২০২৫
২০১১ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের জন্য এই অধ্যাদেশকে “প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি” হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য পুনর্বাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ সরকারের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন এবং নাগরিকদের আস্থা পুনর্গঠনের একটি বার্তা।
`সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ চাকরির বয়সসীমা, নিয়োগ পদ্ধতি এবং স্বচ্ছতা সংক্রান্ত সংস্কারের কিছু সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। এটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে— প্রত্যেক সুপারিশের বাস্তবায়নযোগ্যতা ও সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করে উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করার।
এছাড়াও বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এই অংশীদারিত্বকে দেখা হচ্ছে কৌশলগত সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতীক হিসেবে।
একইসঙ্গে অতীতের রাজনৈতিক ট্রাজেডি ও প্রশাসনিক সংস্কার—এই দুই দিকেই সরকারের মনোযোগ প্রমাণ করছে যে অন্তর্বর্তী সরকার শুধু ভোট আয়োজন নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও আস্থা ফিরিয়ে আনায়ও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে