গাজীপুরে ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানে একটি সংসদীয় আসন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি। অন্যদিকে, বাগেরহাটে ভোটার তুলনামূলকভাবে কম থাকায় সেখান থেকে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, কারিগরি কমিটি ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাসের সুপারিশ করেছে। যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত একটি আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার যেসব এলাকায় ভোটার কম, সেখান থেকে একটি আসন কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আমাদের ভোটার তালিকা ভিত্তিতে, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে কমিটি এভারেজ আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন। সেটি হলো ৪ লাখ ২০ হাজার সামথিং, অর্থাৎ ৩০০ আসনের এবার ভোটার সংখ্যা হলো ৪ লাখ ২০ হাজার। তারা ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটা গ্রেডিং করেছেন, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ভোটার কোন জেলায় এবং সবচেয়ে কম ভোটার কোন জেলায়। কারিগরি কমিটি ফাইন্ড আউট করেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন তারা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন এবং সর্বনিম্ন ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করেছেন।
তিনি বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ভোটার হচ্ছে গাজীপুর। আর বাগেরহাট জেলায় সবচেয়ে কম। মানে বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা ভোটার সংখ্যা এবং জনসংখ্যা এনালাইসিস করে তাদের প্রস্তাব হচ্ছে যে বাগেরহাট একটি আসন কমবে, গাজীপুরে জনসংখ্যা ও ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটি আসন বৃদ্ধি পাবে।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করছি। সেটি হচ্ছে ৪ লাখ ২০ হাজার ধরলে এটার ওপরে আছে কিছু, নিচে আছে কিছু। দেখা গেছে ৪ লাখ ২০ হাজার এর ওপরের যেই আসনগুলো বা জেলাগুলো সেগুলোতে যদি একটা আসন আমরা বাড়াই শুধুমাত্র গাজীপুর জেলায় এই এভারেজের ওপরে থাকে। আর বাকিগুলো এভারেজের নিচে চলে আসে। যার কারণে বাকিগুলোর বাড়ানোর যে প্রস্তাব সেটি তারা দেয়নি আর এভারেজের নিচে যে কয়টা আছে শুধুমাত্র দেখা গেছে, বাগেরহাটেরটা কমাই তাহলে মোটামুটিভাবে এভারেজের কাছাকাছি থাকে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে