হত্যাসহ ছয়টি মামলায় অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নাটকীয় পরিস্থিতির পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে নগরীর দেওভোগ এলাকার নিজ বাসভবন ‘চুনকা কুটির’ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, “ডা. আইভীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে। অভিযানে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি রাতের বেলায় যেতে রাজি না হলেও পরে সহযোগিতা করেছেন। তাকে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান শুরু করলে, দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। আশপাশের মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ সদস্যরাও বাড়ির ভেতরে কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি। তিনি বলেন, “আইভীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে এসেছি। বাধা দিলে লাভ হবে না।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের’ সময় সংঘটিত একাধিক সহিংস ঘটনায় আইভীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান চালানো হয়।
আইভীর ঘনিষ্ঠ মহল এ গ্রেপ্তারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে বলে আভাস দিয়েছেন, যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনো পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :