AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শেরপুরে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী


Ekushey Sangbad
মোঃ মুরাদ মিয়া, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
০৭:৪৯ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শেরপুরে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেরপুরে টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণের ফলে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের লতারিয়া, ডুবারচর, কামারেরচরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট না থাকাই এই জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

টানা বর্ষণে রাস্তাঘাটে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। দোকানপাট ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালামাল ও আসবাবপত্র। দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানিতে চলাচলের কারণে অনেকে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উঠোনে পানি জমে থাকায় নারী-শিশুসহ গৃহপালিত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলও ভোগান্তিতে পড়ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, রিং কালভার্ট স্থাপন ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে স্বস্তি ফিরবে জনমনে এবং চরাঞ্চলের শতাধিক পরিবার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

লতারিয়া গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক শফিকুল মিয়া বলেন, “সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তা দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু দুই দিন ধরে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে থাকায় গাড়ি বের করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে আমাদের এমন কষ্ট করতে হয়। তাই সরকারের ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন—দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।”

কামারেরচর গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন, “পঁচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আমাদের মসজিদে যেতে হচ্ছে। ফলে আমরা খোঁচপাচড়াসহ নানা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। উঠোনে সবজি চারা ও ফসল পচে নষ্ট হচ্ছে। তাই এ দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান চাই।”

এ বিষয়ে কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ আরজু বলেন, “যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!