১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে চাকরি। অগ্রীম দিতে হতো ২ লাখ টাকা। পরীক্ষার হলে হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট ব্যবহার করে সমাধান দিত প্রশ্নপত্রের।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি চলমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে তৎপর হয়ে ওঠা একটি চক্রের মূলহোতা ইকবাল হোসেনসহ (৪২) চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-২।
বুধবার (১৮ মে) রাতে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ডিভাইস ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। গ্রেফতার বাকি তিনজন হলেন- রমিজ মৃধা (৩০), নজরুল ইসলাম (৫০) ও মোদাচ্ছের হোসেন (৬২)।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার নামে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ১০-১৫ লাখ টাকায় চুক্তি হতো তাদের। এজন্য পরীক্ষার আগেই অগ্রিম দিতে হতো অন্তত ২ লাখ টাকা। এরপর পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হতো হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট। যার মাধ্যমে বাইরে থেকে সরবরাহ করা হতো প্রশ্নপত্রের সমাধান।
পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্নের ছবি চলে আসতো প্রশ্নফাঁস চক্রের হাতে। তাৎক্ষণিকভাবে মেধাবীদের একটি টিমের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর বলে দেওয়া হতো।
তিনি বলেন, ইকবাল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। নজরুল আগারগাঁও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর ও মোদাচ্ছের মুজিবনগর সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক সমাজকর্মী। এছাড়া, রমিজ একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করার পর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে ডিভাইসগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
একুশে সংবসদ.কম/জ.ন.ব.ট.জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :