করোনার টিকার প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন একটু অনিশ্চিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৭ এপ্রিল থেকে দেওয়া হবে বলে আজ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে, দ্বিতীয় ডোজের টিকা কবে হাতে পাওয়া যাবে, কী পরিমাণ পাওয়া যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে সব কিছু। এ ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ৬০ লাখ মানুষকে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য সমপরিমাণ টিকা হাতে মজুদ রাখাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই দ্বিতীয় ধাপের টিকা শুরুর পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
এর মধ্যেই সোমবার ভোর রাতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এ নিয়ে মোট ৯০ লাখ টিকা পেল বাংলাদেশ। আগামী সপ্তাহে কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও অল্প কিছু ডোজ টিকা প্রাথমিকভাবে আসতে পারে। বাকি টিকা কবে নাগাদ হাতে পাওয়া যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ফলে প্রথম ডোজ যারা পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের দ্বিতীয় ডোজের টিকা হাতে নিশ্চিত করার পর অবশিষ্ট টিকা ও পরের লটের টিকা আসার ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় ধাপের প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
এ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি যা আছে, তাতে প্রথম ধাপের পর কিছুটা বিরতিও ঘটতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :