দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৫২ পৃষ্ঠার এ রায়ে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। শুনানি শেষে ২৬ মে রায়ের জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করা হয়। এ মামলায় দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান এবং আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এস এম শাহজাহান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আব্দুল করিম।
এর আগে গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে জামিন দেওয়া হয়। ওই আপিল দায়ের করতে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করে দেন আদালত।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় ৬ বছরের কারাদণ্ডসহ ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান ডা. জুবাইদা রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে