বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গমনকারী অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাই করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার (ইউএসসিআইএস) প্রধান জোসেফ এডলো।
তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—যেসব দেশকে নিরাপত্তাজনিত কারণে উদ্বেগের তালিকায় রাখা হয়েছে, সেসব দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড পূর্ণাঙ্গভাবে ও কঠোর মানদণ্ডে পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে।
কোন কোন দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড যাচাইয়ের আওতায় আনা হবে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটি হোয়াইট হাউসের জুন মাসের একটি ঘোষণার কথা উল্লেখ করে, যেখানে এই ১৯ দেশের নাম তালিকাভুক্ত ছিল।
ঘোষণাটির শিরোনাম ছিল—‘Restricting the Entry of Foreign Nationals to Protect the United States from Foreign Terrorists and Other National Security and Public Safety Threats’—অর্থাৎ বিদেশি সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন নিরাপত্তা হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ।
সেখানে ১২টি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলা হয়। দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এ ছাড়া বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলাসহ সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান নাগরিকের গুলিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য আহত হওয়ার পর (যার একজন পরে মারা যান) গ্রিন কার্ড যাচাই ঘোষণা আসে। অভিযুক্ত রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর যে বিশেষ সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তিনি সে কর্মসূচির অধীনে আসেন।
ঘটনাটি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির ইঙ্গিত দেয়।
জোসেফ এডলো তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে গ্রিন কার্ডের ব্যাপক যাচাই কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করলেও হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। কীভাবে এই পুনঃপর্যালোচনা পরিচালিত হবে—এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

