AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:৪৪ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রতিদিনই বাড়ছে। তবু দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি দামে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার পরিদর্শন করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতাদের দাবি, গত অক্টোবরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে সারাদেশে শীতকালীন সবজির উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক এলাকায় সবজির ক্ষেতও নষ্ট হয়েছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়েও দাম চড়া।

যদিও বাজার এখন শীতের বিভিন্ন সবজিতে পরিপূর্ণ—শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, পালং শাক, লাউ, মুলা—সবই পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতারা দামে সন্তুষ্ট নন।

মালিবাগ বাজারে সবজি কিনতে আসা শিহাব হোসেন বলেন, “শীতের সবজি এসেছে প্রায় এক মাস। কিন্তু দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। অন্যান্য বছর এই সময়েই দাম নাগালে চলে আসে।”

এখন বাজারে ভালো মানের বেগুনের দাম কেজিতে ১০০–১২০ টাকা, যা সাধারণত গরমকালে দেখা যায়। শীত মৌসুমে বেগুনের দাম থাকে ৪০–৬০ টাকার মধ্যে।
ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪৫–৫৫ টাকা। নতুন শিমের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। কোথাও ভালো শিম ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্যান্য বছর এ সময় শিম ৫০ টাকা এবং কপি ২০–৩০ টাকায় পাওয়া যেত।

নতুন আলু সবসময় একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়—কেজিতে ১২০–১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দাম কেজিতে ৫০–৭০ টাকা। নতুন মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শাকের দামও বেড়েছে। প্রতি আঁটি শাক কিনতে লাগছে কমপক্ষে ২০ টাকা—যেখানে সাধারণত শীতকালে শাকের দাম ১০–১৫ টাকার মধ্যেই থাকে।

কারওয়ান বাজার আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, “মাসখানেক আগে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে উৎপাদন কমে যায়। কৃষকরা নতুন করে চাষ করেছেন। সারাদেশ থেকে ঢাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ৭–১০ দিন লাগবে। তখন দাম কমে আসবে।”

তবে সবজির দামের চাপে ভোগলেও পেঁয়াজের বাজার কিছুটা স্বস্তিদায়ক। কোথাও দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও অনেক জায়গায় ১১০–১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

আর ডিম ও মুরগির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল।
ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৬০–১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!