অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামছে না, প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হামলায় আরও ৭২ জনের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫৬ জন। এতে মোট প্রাণহানি দাঁড়াল ৬৪ হাজার ৭১৮ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জন।
হামলার বাইরে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারেও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। গত একদিনে শুধু ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও ৭ জন, তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মোট ৪১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৪২ জন শিশু।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তায় পড়ে আছে, উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারছে না। অন্যদিকে, ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নতুন করে নিহত হয়েছেন ৯ ফিলিস্তিনি, আহত অন্তত ৮৭ জন। চলতি বছরের মে মাস থেকে এ ধরনের ঘটনায় প্রাণ গেছে ২ হাজার ৪৬৫ জনের, আহত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের মধ্যে চলতি বছরের মার্চে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে ২৪ লাখ মানুষের এ জনপদে ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। মার্চে নতুন করে হামলা শুরুর পর নিহত হয়েছেন ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি ইতোমধ্যে গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দুর্ভিক্ষ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত মাসে এই ঘোষণা আসার পর থেকে এক মাসেই ক্ষুধায় প্রাণ গেছে অন্তত ১৩৩ জনের, তাদের মধ্যে ২৭ জন শিশু।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে