AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিশ্বের প্রথম এইডস টিকা তৈরির পথে রাশিয়া


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১:৫৬ এএম, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বের প্রথম এইডস টিকা তৈরির পথে রাশিয়া

ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগ এইডসের (AIDS) টিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া। সফল হলে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম কার্যকর এইডস প্রতিষেধক।

রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার ইতোমধ্যেই টিকা উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। কেন্দ্রটির মহামারিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ভ্লাদিমির গুশচিন জানিয়েছেন, টিকা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বাধুনিক এমআরএনএ (mRNA) প্রযুক্তি। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই বাজারে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।

গুশচিনের ভাষায়— “আমরা এমন একটি অ্যান্টিজেন তৈরি করছি, যা মানবদেহে প্রবেশ করলে বিস্তৃত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে। আশা করছি দুই বছরেরও কম সময়ে কার্যকর টিকা বাজারে আনতে পারব।”

প্রচলিত টিকা সাধারণত দুর্বল বা মৃত জীবাণু ব্যবহার করে তৈরি হয়। কিন্তু এমআরএনএ প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট প্রোটিন দেহে প্রবেশ করিয়ে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করা হয়। ফলে ভাইরাস আক্রমণ করলে শরীর আগেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

এইডসের জন্য দায়ী ভাইরাস হলো এইচআইভি (HIV), যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।প্রথমবার ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রোগটি শনাক্ত হয়।অনিরাপদ যৌনতা, দূষিত সিরিঞ্জ ও মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ায়।সাহারা-উপসাহারীয় আফ্রিকায় রোগটির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৮ সালেই ১০ লাখ মানুষ এইডসে মারা যান। তবে ২০১০ সালের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশ এর আগে বহুবার এইডস প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ নিলেও ভাইরাসটির জটিল গঠন এবং দ্রুত জিনগত পরিবর্তনের কারণে কোনো প্রকল্প সফল হয়নি।

গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার করোনা মহামারির সময় বিশ্বের প্রথম টিকা স্পুটনিক–৫ উদ্ভাবন করেছিল, যার কার্যকারিতা ছিল ৯৭ শতাংশেরও বেশি। বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশ সেটি ব্যবহার করেছে।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!