যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিশ্রুত ত্রাণের মাত্র এক-চতুর্থাংশ প্রবেশের অনুমতি মিলেছে, বাকি ৭৫ শতাংশই আটকে রাখা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে, ফলে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি ত্রাণ ও বাণিজ্যিক ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যা দৈনিক গড়ে ১৪৫টি। অথচ যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক ঢোকার কথা ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণবাহী কনভয় আটকে রাখছে, ফলে প্রায় ২৪ লাখ মানুষের জীবন এখন গভীর মানবিক সংকটে।”
গাজা কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— যেন “কোনও শর্ত ছাড়াই” ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের রুট পরিবর্তনের নির্দেশের কারণে ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এখন কনভয়গুলোকে সংকীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ফিলাডেলফি করিডর হয়ে যেতে হচ্ছে, যেখানে ভয়াবহ যানজট তৈরি হচ্ছে।”
এদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সেনারা শনিবারও গাজার খান ইউনিস ও জাবালিয়া এলাকায় বিমান ও কামান হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব হামলায় বহু ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ২২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

