কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের রিফট ভ্যালি অঞ্চলে টানা ভারি বর্ষণে ভয়াবহ ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩০ জন এখনো নিখোঁজ এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে এলগেয়ো-মারাকওয়েট জেলার চেসোনগোচ পাহাড়ি এলাকায় এ বিপর্যয় ঘটে। অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিচের বসতি এলাকায় বন্যার স্রোত নেমে আসে।
কেনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, আহত অন্তত ২৫ জনকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে এলডোরেট শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনা ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাবার, চিকিৎসা ও আশ্রয়সহ জরুরি সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সেনা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্টিফেন কিটোনি জানান, রাতে হঠাৎ তীব্র শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে তিনি সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যান।
কেনিয়ান রেড ক্রস জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এখনো অনেকাংশে বিচ্ছিন্ন। বন্যার কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় স্থলপথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ, ফলে ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চেসোনগোচ এলাকা এর আগেও ভূমিধসপ্রবণ হিসেবে পরিচিত। ২০১০ ও ২০১২ সালে পৃথক দুটি ঘটনায় বহু প্রাণহানি ঘটে, আর ২০২০ সালে বন্যায় স্থানীয় একটি শপিং সেন্টার ধ্বংস হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

