মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর ইরানে ছড়িয়ে পড়েছে বিজয়ের আবহ। দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই যুদ্ধবিরতিকে একটি ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে বর্ণনা করছে। সরকারি বিবৃতি ও প্রচারণা বলছে, এই সাফল্য প্রমাণ করে—ইরান এখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক শক্তিরও প্রতীক।
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেন, “এই জয় আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। এখন বিশ্ব নতুন করে আমাদের শক্তিকে মূল্যায়ন করছে।” পার্লামেন্টের স্পিকার গালিবাফের উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মাদি এই পরিস্থিতিকে “নতুন অধ্যায়ের সূচনা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি জানান, “আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আর কেউ থামাতে পারবে না। আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারবে না।”
এর আগে, মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে তা ঘোষণার আগেই ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হানে—যাতে অন্তত চারজন প্রাণ হারায়।
যদিও যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে, বিশ্লেষকদের মতে ইরান এটিকে কৌশলগত জয় হিসেবে ব্যবহার করছে। এই ‘বিজয় উৎসব’ জনমত তৈরির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সংহতিকে জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে