গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আহ্বানের পরও থেমে থাকছে না আগ্রাসন। মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবটিও আটকে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে।
বুধবার (৫ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই ভোটে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি সব দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে একমাত্র ভেটো ক্ষমতাধারী দেশ হিসেবে প্রস্তাবটিকে আটকে দেয় ওয়াশিংটন।
বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে থাকা ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ফের ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
নতুন প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করা হয়। একই সঙ্গে, হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি, মানবিক সহায়তা প্রবেশে সব ধরনের বাধা অপসারণ, এবং গাজায় চলমান ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি’র অবসান চাওয়া হয়।
ভেটোর বিষয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ডরোথি শিয়া বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো প্রস্তাবে সম্মতি দেবে না, যাতে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করা না হয় কিংবা গাজা থেকে তাদের নিরস্ত্রীকরণ ও প্রত্যাহারের দাবি না থাকে।”
তিনি আরও বলেন,“ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা সেই অধিকারের সপক্ষে আছি।”
এর আগেও গত নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে আনা একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছিল। অর্থাৎ ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রয়াস বারবার ব্যর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একক বিরোধিতায়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেটো গাজার জনগণের ওপর চলমান গণহত্যাকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, এ অবস্থায় জাতিসংঘের কার্যকারিতাই প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে