রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, জিয়া ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক। মাঠপর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপুল সমর্থন অর্জন করে তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারেক নিয়মিত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং রমজানে ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণের সময় একাধিকবার তার উপর ও তার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার পরও তিনি মাঠ ছেড়ে না গিয়ে আরও সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা তাকে তৃণমূলে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আছেন মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। শরিফ উদ্দিন প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই হলেও রাজনৈতিক কৌশল ও দ্বন্দ্ব নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রমজানে সংঘর্ষে দুই কর্মীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
অন্যদিকে, এডভোকেট তারেক কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে চলা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার আয়োজনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলায় তার গণসংযোগে নবীন-প্রবীণ সবার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কলমা, পাঁচন্দর, কামারগাঁসহ সাতটি ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ এবং প্রচারণা কার্যক্রমে তার উপস্থিতি ব্যাপকভাবে তৃণমূলে আলোচিত।
তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা এবং পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলেন, "তারেকই এখন তৃণমূলের আস্থার প্রতীক। তিনিই দলের আদর্শ ও কেন্দ্রের নির্দেশনাকে সম্মান দিয়ে কাজ করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, মনোনয়ন তারেক পেলেই এই আসনে বিএনপি জয়ের সম্ভাবনা রাখে।"
এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাশা করাই রাজনৈতিক অধিকার, কিন্তু হানাহানি নয়। আমি জনগণের সামনে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা তুলে ধরতে চাই। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত—যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, আমরা সবাই তার পক্ষেই কাজ করবো।”
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :