যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) লন্ডনে বাংলাদেশি ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন একাধিক সম্পত্তি জব্দ করেছে। শনিবার (২৪ মে) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জব্দ করা এসব সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এনসিএ এরই মধ্যে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান এফ রহমানের নামে থাকা দুটি সম্পত্তি ফ্রিজ (জব্দ) করেছে।
একটি হলো ১৭ গ্রোভনার স্কয়ারে অবস্থিত লন্ডনের অন্যতম অভিজাত এলাকার একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যেটি ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়েছিল।
অন্যটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসের একটি বাড়ি, যার মূল্য ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড।
ফিন্যানশিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেশাম গার্ডেনসের এই বাড়িতে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা দীর্ঘদিন থাকতেন। তিনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মা।
এনসিএ আরও ৭টি সম্পত্তি জব্দের আদালতের আদেশ পেয়েছে, যেগুলোর মালিকানা শেখ হাসিনার আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে। এসব সম্পত্তির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তের আওতায় রয়েছেন।
একটি আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে শেখ হাসিনার মিত্রদের মালিকানায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি মূল্যের বিদেশি সম্পদের তথ্য। এর মধ্যে বড় একটি অংশ লন্ডন ও দুবাইয়ের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে এর নীতি পরিচালক ডানকান হেমস এনসিএর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,“আমরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা বিলম্ব না করে সন্দেহভাজন সব সম্পদ অবিলম্বে জব্দ করে।”
এনসিএ-এর একজন মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেছেন, “চলমান একটি সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি জব্দের আদেশ আমরা পেয়েছি।”
সালমান এফ রহমান এক সময় শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রভাব খাটিয়ে সম্পদ অর্জন এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে