পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে এসে বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, “নগরভবনে কোনো উপদেষ্টা বা প্রশাসক বসতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা বিগত কাউন্সিলর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে বিপ্লবী নগর কাউন্সিল গঠন করব।”
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে এসে তিনি নিজেকে “নির্বাচিত ও আদালত কর্তৃক বৈধ প্রার্থী” হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন,“এই নগর আমার দায়িত্বের আওতাভুক্ত। আমি এসেছি এই ঈদ জামাত প্রস্তুতি দেখতে, কালকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মাঠে থাকব।”
জাতীয় সংসদে গঠিত অন্তর্বর্তী উপদেষ্টা পরিষদ প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন,“এই উপদেষ্টারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “যদি উপদেষ্টারা সত্যিই রাজনীতি করতে চান, তাহলে পদত্যাগ করে সরাসরি রাজনীতিতে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রশাসনের কাঠামো নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ইশরাক বলেন,“স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জরুরি সংস্কার দরকার। কিন্তু কেউই এ নিয়ে কথা বলছে না। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরা আন্দোলনে যাব।”
দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহার আমেজ, কিন্তু তাতে চাপা পড়েনি রাজনৈতিক অস্থিরতা। আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) ঈদ উদযাপন হলেও, আজকের সকালে জাতীয় ঈদগাহে বিএনপি নেতা ইশরাকের এই বক্তব্য ঢাকার নগর রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি ঘিরে পরিদর্শনে এসে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বক্তব্য শুধু ঈদের আয়োজন ঘিরে নয়, বরং ঢাকার স্থানীয় সরকার কাঠামো ও অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ করেছে। প্রশাসক বসানো হলে ‘বিপ্লবী নগর কাউন্সিল’ গঠনের হুঁশিয়ারি বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের নতুন দিক নির্দেশ করে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে