সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে তথাকথিত আগাম ঈদুল আযহার জামাত আদায় করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল মাওফিক চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা বাসভবনে কড়া পুলিশ ও সেনা পাহারার মধ্য দিয়ে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতে ইমামতি করেন আবদুল মাওফিক চৌধুরী নিজেই। তিনি জানান,“আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছি, তাই ঈদও পালন করছি সেই হিসেবেই। মুসলিম উম্মাহর একতার স্বার্থে বিশ্বব্যাপী এক দিনেই ঈদ হওয়া উচিত।”
এই জামাতে অর্ধ শতাধিক পরিবারের নারী-পুরুষ অংশ নেন, যাদের মধ্যে অনেকে মৌলভীবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এসেছেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয় এবং কোরবানি দেওয়া হয়।
এই আয়োজন ঘিরে আবারও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত ঈদুল ফিতরের সময় মুসল্লিদের পোশাক নিয়ে ‘ইহুদি সংস্কৃতি’ বলে কটূক্তি করে সমালোচনার মুখে পড়েন মাওফিক। তীব্র প্রতিবাদের মুখে তিনি প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেন, যেখানে ভবিষ্যতে সরকারি নির্ধারিত তারিখে ঈদ পালনের প্রতিশ্রুতি ছিল।
কিন্তু মাত্র দুই মাসের মাথায় সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সৌদি আরবের তারিখ অনুসরণ করে আবার ঈদ উদযাপন করেছেন তিনি।
আব্দুল মাওফিকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌলভীবাজারের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তাদের অভিযোগ,“জেলার ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/ মৌ.প্র/এ.জে