রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক যুদ্ধবন্দি মুক্তি দিয়েছে দুই দেশ। শুক্রবার (২৩ মে) তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া সমঝোতার ভিত্তিতে মোট ৭৮০ জন বন্দিকে মুক্ত করে মস্কো ও কিয়েভ। তাদের মধ্যে সমান সংখ্যক — ৩৯০ জন করে রুশ ও ইউক্রেনীয় নাগরিক। এই মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক – উভয় ধরনই রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিটি পক্ষ ২৭০ জন করে সেনাসদস্য এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্মত ১ হাজার বন্দির মধ্যে শুক্রবার ছাড়া হয়েছে ৭৮০ জন। বাকি ২২০ জনকে শনিবার ও রোববারের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া এক ইউক্রেনীয় সেনা ওলেক্সান্দার নেহির বলেন, “আমার স্ত্রী জানত না আমি মুক্তি পাচ্ছি। প্রতি শুক্রবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। আজ সেই সাপ্তাহিক সাক্ষাৎেই এসেছিল সে। যখন দেখে আমি মুক্তি পেয়েছি, আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “এই অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যাবে না—কখনও আশা হারাতে নেই।”
অন্যদিকে মুক্তি পাওয়া এক রুশ সেনা ওলেকসান্দার তারাসোভ বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে মুক্তি পেয়েছি।”
যুদ্ধবন্দি মুক্তির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মস্কো ও কিয়েভের এ সমঝোতা কি বড় কোনো শান্তির ইঙ্গিত হতে পারে? সময়ই বলবে।”
উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধের আড়াই বছরের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় সবচেয়ে বড় মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে